কুতুবদিয়া প্রতিনিধি :: কুতুবদিয়ায় পরকীয়া প্রেমের টানে নুরুন্নবী নামে এক সাবেক মেম্বারের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন ৫ সন্তানের জননী।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের জহির আলী সিকদার পাড়ায়।
এ ঘটনায় ৬ নভেম্বর (রবিবার) প্রেমিক যুগল নুরুন্নবী ও শেফা আকতারকে অভিযুক্ত করে কুতুবদিয়া আদালতে একটি মামলা (সি,আর- ৪১২/২২ইং) দায়ের করেছেন শেফা আকতারের স্বামী নেজাম উদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের জহির আলী সিকদার পাড়ার বাসিন্দা নেজাম উদ্দিনের সাথে একই এলাকার শেফা আকতারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। দীর্ঘ বিবাহিত জীবনে ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সহ ৫ সন্তান রয়েছে এ দম্পতির। একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় নেজাম উদ্দিনের ঘরে প্রায় সময় আসা যাওয়া করত স্থানীয় সাবেক মেম্বার নুরুন্নবী। সে সুবাধে নেজাম উদ্দিনের স্ত্রী শেফা আকতারের সাথে নুরুন্নবীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্ক একসময় পরকীয়ায় রূপ নেয়। জীবিকার তাগিদে নেজাম উদ্দিনকে মাছ ধরার ট্রলারে টানা ৭/১০ দিন বঙ্গোপসাগরে কাটাতে হয়। এদিকে নেজামের অনুপস্থিতিতে শেফা আকতার আরো ঘনিষ্ট হতে থাকে নুরুন্নবীর সাথে।
নেজাম উদ্দিন বলেন, আমার অজান্তে সন্তানদেরকে কবিরাজের কাছে যাওয়ার কথা বলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে নুরুন্নবীর উদ্দেশ্যে ঘর ছাড়ে তার স্ত্রী শেফা আকতার। অনেক খোঁজখবর নেওয়ার পর জানতে পারি আমার স্ত্রী নুরুন্নবীর সাথে রয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
পাঠকের মতামত: